খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সভায় বসছে। চালের বাজার, চাল আমদানি, মজুদসহ সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ওইদিন বেলা ১১টায় সভায় বসবে খাদ্যবিষয়ক সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটি।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সভায় আগে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, সার্বিক খাদ্য পরিস্থিতি, সরকারি মজুত, অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ও সরকারি বিতরণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সরকারি বৈদেশিক আমদানি বিষয়ক আলোচনা হবে। একইসঙ্গে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সভাটি ভার্চুয়ালি হবে।
খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। কমিটির সদস্য হিসেবে সভায় যুক্ত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের মহাপরিচালক এই কমিটির সদস্য সচিব।
এ ছাড়া সভায় আরও থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন।
এবার আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। এ দাম দুর্ভোগে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার।
বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে সোয়া ১০ লাখ টনের মতো চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চাল আমদানি শুরু হলেও বাজারে চালের দামে তা খুব একটা প্রভাবে ফেলেনি।
চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ৮ লাখ টন ধান-চাল কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৬ টাকা কেজি দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩৭ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আমন সংগ্রহে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।